About Manikgonj Govt Women's College
 
মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ
প্রতিষ্ঠাকাল- ১৯৭২
সরকারি করন- ০১-০১-১৯৮৫
কলেজ EIIN - ১১০৯৯৬
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কোড- ০৫৮০২
মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ
কলেজ পরিচিতি
রক্তস্নাত মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের একটি গৌরবময় জেলা মানিকগঞ্জ। অর্থনৈতিক ও জনাধিক্যের বিবেচনায় যা ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নিত হয়। কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, খেলোয়াড়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি নানা বিশেষণে বিশেষায়িত গুণীজনের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ নদীবিধৌত একটি জেলার নাম মানিকগঞ্জ। এ মাটিরই একজন প্রত্যয়ী, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, নিবেদিতপ্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মফিজুল ইসলাম খান কামাল যার হাতে সূচিত হয় আজকের এই গৌরবদ্দীপ্ত মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ। ঐতিহ্য আর অহঙ্কার নিয়ে গর্বভরে ১৯৭২ সালে যার পথচলা শুরু। আজও দেদীপ্যমান সেই পথচলায় সদাশয় সরকার ১৯৮৫ সালে এ প্রতিষ্ঠানটিকে সরকারিকরণের মাধ্যমে আরো কয়েকধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।
পদ্মা, যমুনা,ধলেশ্বরী ও কালিগঙ্গার ন্যায় ধীরে ধীরে বহমান ধারায় আজ এ প্রতিষ্ঠানটি মানিকগঞ্জ জেলার নারী শিক্ষার একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এক সময়ে রোপিত বীজ অঙ্কুরিত হয়ে আজ উচ্চ মাধ্যমিক শাখা থেকে বিস্তৃত হয়েছে বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে। ১৯৭২ সালে বোর্ডের প্রথম স্বীকৃতির সময়কাল থেকেই ডিগ্রী পর্যায়ের পাঠদানের সূচনা হয়। সময়ের পরিক্রমায় আজ ২০২২সালে বিএ (পাশ) পর্যায়ে ২২২ জন ছাত্রী নিয়মিত পড়াশুনা করছে। এ ছাড়া ২০১১ সালে ইংরেজি, ২০১৩ সালে বাংলা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং ২০১৭ সালে দর্শন ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এই মোট পাঁচটি বিষয়ে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় অনার্স কার্যক্রম চালু করে। বর্তমানে ২০২২ বর্ষে সম্মান শ্রেণিতে মোট পাঠরত ছাত্রী সংখ্যা ৯৩৪ জন। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে দ্বাদশ পর্যায়ে ১২৯৯ জন এবং একাদশ পর্যায়ে রয়েছে ১৪৩৫ জন ছাত্রী। বর্তমানে সকল শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মোট ছাত্রীর সংখ্যা হলো প্রায় চার হাজার।
‘শেখ রাসেল তথ্য ও প্রযুক্তি ল্যাব’ নামে এখানে রয়েছে একটি সমৃদ্ধ ও সুদৃশ্য তথ্য ও প্রযুক্তি ল্যাব। সাথে রয়েছে বিজ্ঞানের ছাত্রীদের জন্য বিষয়ভিত্তিক ল্যাব। জ্ঞানার্জনের জন্য পাঠ্যবই, লাইব্রেরির পাশাপাশি রয়েছে বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের বিশাল বই ভান্ডার থেকে জ্ঞানলাভের বিস্তৃত সুযোগ। প্রতি রবিবার কলেজ চত্বরে বেলা ১২.০০ থেকে ১.০০ টা পর্যন্ত বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি তাদের সেবা দিয়ে থাকে। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকারের শিক্ষা নীতির পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ সদা সচেষ্ট। যার প্রতিফলন আমরা পাই আমাদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০১৭ সালে পাশের হার ৬৪%, ২০১৮ সালে ৫৭%, ২০১৯ সালে ৬০%, ২০২০ সালে ১০০% এবং ২০২১ সালে ৯২%।
নারী শিক্ষার একমাত্র এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের পড়াশুনার পাশাপাশি রয়েছে সহশিক্ষা কার্যক্রমের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্যগাঁথা। ২০২২ সালে শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন ইভেন্টের মধ্যে ৯টি তে ১ম স্থান অধিকার করে এ প্রতিষ্ঠানের সুযোগ্য ছাত্রীরা। ২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষে আন্ত:কলেজ ক্রিকেট এবং ফুটবল প্রতিযোগিতায় এ প্রতিষ্ঠান চ্যাম্পিয়ান ট্রফি লাভ করে। খেলাধুলার পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে রোভার কার্যক্রম, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রেডক্রিসেন্ট কার্যক্রম ইত্যাদি ছাড়াও বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, জাতীয় বিভিন্ন দিবসসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনসহ এ জাতীয় সকল আনুষ্ঠানিকতা অত্যন্ত সুন্দরভাবে এখানে উদযাপন করা হয়।
পরিশেষে, একঝাঁক দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষক সমৃদ্ধ এ প্রতিষ্ঠানটি ৫.৩৮ একরের তিনটি সুপরিসর ক্যাম্পাস সমন্বয়ে জেলার নারী শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে তৈরি করার মানসে প্রতিনিয়ত প্রশাসনের সহযোগিতায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে নারী শিক্ষা বিস্তারে সরকারের চিন্তার পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন এবং এর প্রয়োগে সর্বদা সচেষ্ট থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃপ্ত প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছে মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ।
e-mail: info@manikgonjmohilacollege.edu.bd
mgmc789@gmail.com
web: www.manikgonjmohilacollege.edu.bd
|
ভিশন (Vision): মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার মানোন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, জ্ঞান সৃষ্টি, সংরক্ষণ ও বিতরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি, সরকারি নীতি ও নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং সরকারি অর্থের যথার্থ ব্যবহারের দক্ষতা ও সক্ষমতা অর্জন।
মিশন : (Mission) শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়নের লক্ষে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা, শিক্ষার হার বৃদ্ধি করা এবং দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলে বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা।
|